Ramkrishna Bani in Bengali : রামকৃষ্ণদেব ঊনবিংশ শতকের এক প্রখ্যাত ভারতীয় যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু। রামকৃষ্ণদেবের প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর গুরুর মহিমা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন। “যত মত, তত পথ” মতের প্রতিষ্ঠাতা এই রামকৃষ্ণদেব সকল ধর্মকে এক সাথে চলার মহিমা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর চিরন্তন বাণীগুলি আমাদের জীবনের পথে সঠিক মার্গ প্রদর্শন করতে সাহায্য করে। আজ আমাদের এই আর্টিকেলে এই মহাত্মার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উক্তি ও বাণী আপনাদের জন্য তুলে ধরার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস আমরা করেছি। ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের বাণী – রামকৃষ্ণদেবের ৫০টিরও বেশি বাণী দেওয়া রইলো। হোয়াটস্যাপ স্ট্যাটাস । Ramakrishna quotes In Bengali for Whatsapp Status । আমাদের জীবনে চলার প্রতিটি পদে সঠিক পদক্ষেপ নিতে এই বাণীগুলি সহায় করবে।
Table of Contents
আরও দেখে নিন : Top 50+ স্বামী বিবেকানন্দের বাণী – Swami Vivekananda Quotes for WhatsApp Status
দেখে নিন : ঠাকুর রামকৃষ্ণ কুইজ
রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী
ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসের অমৃত বাণী সমূহ নিচে দেওয়া রইলো। ramakrishna quotes in bengali |
ভগবানের অনেক নাম আছে এবং তাঁকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত করা যেতে পারে। তুমি তাঁকে কি নামে ডাকো এবং কিভাবে তাঁর পুজো করো এটা বড় বিষয় নয়, গুরুত্বপূর্ণ এটাই যে তুমি তাঁকে নিজের ভিতর কতটা অনুভব করো ।
– শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব
ঈশ্বরকে বল, হে ভগবান !
-রামকৃষ্ণ কথামৃত
আমি ভালো মন্দ কিছুই জানি না।
আমার যা অভাব তা তুমি পূরণ কর।
হাজার লেখাপড়া শেখ,
– শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস
ঈশ্বরে ভক্তি না থাকলে,
তাঁকে লাভ করবার ইচ্ছা না থাকলে –
সব মিছে।
বাণী – ১
“লোভী মানুষের মন অনেকটা নর্দমায় বেড়ে ওঠা কীটের মত, তাকে যতই ভাল জায়গায় রাখো না কেন সে তো ছট ফট কর মরে যাবেই।”
বাণী – ২
নৌকাকে সর্বদা জলের উপরেই থাকা উচিত
কিন্তু জলকে নৌকার উপর না,
ঠিক এইভাবেই মনের মধ্যে ঈশ্বরে ভক্তি সবার উপরে,
কখনো তার উপর সাংসারিক মোহ-মায়া থাকা উচিত না।
বাণী – ৩
একটা কথা সর্বদা মাথায় রাখবে
জীবনে গুরু সবাই হতে চায়,
তবে শিষ্য হবে কজন?
যদি তুমি শিষ্য না হতে পারলে,
শিখবে কিভাবে জগতের নিয়ম কানুন।
বাণী – ৪
তুমি জীবনে যে কাজই করো না কেন,
নিজের মন কে সর্বদা ঈশ্বরের প্রতি সমর্পিত রেখো
তাহলে মনের মধ্যে শান্তি পাবে, সাহস পাবে।
বাণী – ৫
সূর্যের কিরণ জগতে সমান ভাবে পরলেও
জলের ভেতর, সকল স্বচ্ছ জিনিসের উপর
উজ্জ্বল ভাবে প্রকাশ পায় ।
ভগবানের ভক্তি সকল হৃদয়ে সমান হলেও
সাধুদের হৃদয়ে একমাত্র শ্রেষ্ঠ প্রকাশ পায় ।
শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাণী
দেওয়া রইলো শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাণী ।
বাণী – ৬
বাণী – ৭
তোমার ধর্ম আমার ধর্ম বলে লড়াই করে কী লাভ?
যখন তোমার আমার সবার গন্তব্য সেই এক জনেরই কাছে?
"যত মত তত পথ।"
বাণী – ৮
মনের মধ্যে বিষয় বাসনা
নাম যশ খ্যাতি সুখের চিন্তা নিয়ে
ইশ্বরের সব সাধনাই বৃথা বাবা।
বাণী – ৯
“অভিজ্ঞতা একটি কঠিন শিক্ষক, সে প্রথমে তোমার পরীক্ষা নেয় এবং পরে তার পাঠ দেয়।”
বাণী – ১০
“মুখে যতই ভগবান ভগবান কর না কেন যত দিন না তুমি সব কিছু আমার বলা ছেড়ে সব কিছুই প্রভু তোমার বলে মন প্রাণ থেকে মেনেনিচ্ছ , তত দিন শুধুই মিথ্যা ভক্ত সাজার নাটক করছো মাত্র।”
রামকৃষ্ণ দেবের বাণী
বাণী – ১১
“যেমন মুক্ত পেতে হলে ঝিনুকের প্রয়োজন, ঠিক তেমনি পরম ইশ্বরকে পেতে হলে সত্ কর্ম ও ঈশ্বরে ভক্তির প্রয়োজন।”
বাণী – ১২
“লোভী মানুষের মন অনেকটা নর্দমায় বেড়ে ওঠা কীটের মত, তাকে যতই ভাল যায়গায় রাখো না কেন, সে তো ফিরে নর্দমাতে যাবেই।”
বাণী – ১৩
“দেখবে বৃষ্টির জল কোন দিন উঁচু জায়গায় দাঁড়ায় না নিচু জায়গায় চলে আসে, ঠিক একই ভাবে আত্ম-অভিমানে চুর মনে কখনই শান্তি বিরাজ করতে পারে না। “
বাণী – ১৪
“যে মানুষ কামিনী কাঞ্চনের মোহে আচ্ছন্ন সে আর যাই হোক না কেন সে ইশ্বর প্রেম ও পরম আনন্দ থেকে চির বঞ্চিত।”
বাণী – ১৫
“যদি তুমি মনের মধ্যে অহংকার কালো মেঘ পুষে রাখো, স্বয়ং ইশ্বরও আলোর পথ দেখাতে পারবে না।”
বাণী – ১৬
“জীবনে একটু করে হলেও সাধু, সৎসঙ্গ কর তবেই ঠিক পথে চলতে পারবে, এক বার যদি ভুল পথে চলে যাও তবে ফিরে আসা বড়ই কঠিন গো “
বাণী – ১৭
"যতক্ষণ তোমার মধ্যে কাম ক্রোধ, মোহ, মায়া, লোভের বন্ধন বিদ্যমান ততক্ষণ তুমি ঈশ্বর লাভ থেকে বঞ্চিত।"
বাণী – ১৮
"যতক্ষন তোমার সঙ্গে বাসনা, ততক্ষণই ভাবনা আর এই ভাবনাই হল তোমার দুঃখ কষ্ট মোহ মায়ার কারণ।"
বাণী – ১৯
"আমার ধর্ম ঠিক আর অপরের ধর্ম ভুল এ মত ভালো না বাবা, সবাই ভিন্ন ভিন্ন রাস্তা দিয়েতো এক জনের কাছেই তো যাবে তাই যে নামেই তাকে ডাকো না কেন তাকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসো।"
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের অমৃত বাণী
বাণী – ২০
"তোমার মন কে ভেদা-ভেদ শূন্য করতে শেখ তবেই তুমিও যে কোন কাজের মধ্যেই ভক্তি রস খুজে পাবে।"
বাণী – ২১
"তোমার জীবনের লক্ষ্য শুধুই অর্থ উপার্জন নয়, তোমার জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য পরমেশ্বর সেবা ও মনের শান্তি লাভ।"
বাণী – ২২
"সাংসারিক ভোগ বাসনা কয়েক মুহূর্তের জন্য তোমায় আনন্দ এনে দিলেও কোন দিনই শান্তি ও সন্তুষ্টি এনে দিতে পরবে না।"
বাণী – ২৩
"জ্ঞানের আসল অর্থই হল - কাম ও লোভের নানা বন্ধন থেকে মুক্তি"
বাণী – ২৪
"যদি তুমি মন কে সব কিছুর মধ্যে থেকেও নির্লিপ্ত কর্ম করতে পারো তবেই সফলতা পাবে"
বাণী – ২৫
"নিজের স্বার্থকে ত্যাগ না করলে তাঁর কৃপা পাওয়া সম্ভব না "
বাণী – ২৬
"জীবনে শান্তি পেতে মনের ময়লা গুলো ধুয়ে ফেলতে হবে যে বাবা, মনে যতক্ষণ কাম, ক্রোধ, লোভের বাস সেখানেই সর্বনাস ।"
বাণী – ২৭
"যে ব্যক্তি কোন স্বার্থ ছাড়াই অন্যের জন্য কাজ করেন, ঈশ্বর তার সর্বদাই মঙ্গল করে থাকেন।"
বাণী – ২৮
রামকৃষ্ণ কথামৃত বাণী
"শিশু সুলভ একটি সৎ ও সরল মনের মাধ্যমে যদি তাঁর কাছে প্রার্থনা করো, তবে তোমার প্রার্থনায় নিশ্চিত তিনি সারা দেবেন।"
বাণী – ২৯
"সংসার ধর্ম ত্যাগ ছাড়াও ঈশ্বর প্রাপ্তি সম্ভব তবে তা শুধুই ঈশ্বরের প্রতি প্রেম ও নিষ্কাম কর্মের দ্বারা, এই পথ বড়ই কঠিন।"
বাণী – ৩০
"বিনা জ্ঞানে জীবনকে বিশ্লেষণ করা ছেড়ে দাও, না জীবনকে আরো তেতো হয়ে উঠবে।"
বাণী – ৩১
"মন কে শান্ত করতে হলে, তোমার কাছে যা আছে তার জন্য ইশ্বর কে মন থেকে ধন্যবাদ জানাও, তার সাথে প্রেমের বন্ধন তৈরি কর দেখবে মনের অশান্তি কোথায় হারিয়ে গেছে।"
বাণী – ৩২
"মনের যেমন বন্ধন আছে তেমন মনের মুক্তিও আছে, এই সংসারে নয় তুমি ঈশ্বর প্রেমে নিজের চেতনা কে মুক্ত করবে নয় তুমি সংসারের বন্ধনে বন্দী হবে।"
বাণী – ৩৩
"ইশ্বর সর্বত্র বিরাজমান তবে তার বহিঃপ্রকাশ মানুষের মধ্যে সর্বাধিক, তাই মানুষকে ইশ্বর হিসাবে সেবা কর এবং মনের ভেদ কে দূরে সরাও। "
বাণী – ৩৪
"তুমি জীবনে যতই সুন্দর হও আর যতই কুৎসিত, তোমার মধ্যে যদি ঈশ্বরের প্রতি ভক্তিই না থাকে তবে সবই নিরর্থক"
বাণী – ৩৫
"যদি ইশ্বর কে পেতে চাও তবে ঈশ্বর কে প্রেম ও ভক্তির বাঁধনে বাঁধতে শেখ, তবেই তাকে পাবে।."
বাণী – ৩৬
"তোমার মনের মধ্যে কখনো লোভ ক্ষোভ হিংসা পুষে রেখো না, কারণ মন হল মন্দির সেখানে শুধুই থাকবে ইশ্বরেই নাম, ভক্তি, প্রেম।"
বাণী – ৩৭
"একমাত্র জ্ঞান, দয়া, প্রেম ও ভক্তি মানুষের চৈতণ্য কে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে সক্ষম।"
বাণী – ৩৮
"জানবে সত্য কথাই হল ঈশ্বরের তপস্যা, সত্য কে আট করে ধরে থাকলে তবেই ভগবান লাভ হয় কারণ ভগবান পরম সত্য।"
বাণী – ৩৯
"যতক্ষণ তোমার সঙ্গে বাসনা, ততক্ষনই ভাবনা আর এই ভাবনাই হল দুঃখ কষ্ট মোহ মায়ার কারণ"
শ্রী রামকৃষ্ণদেবের সংসারাশ্রম বাণী
বাণী – ৪০
"যে ব্যক্তি কোন স্বার্থ ছাড়াই অন্যের জন্য কাজ করেন, ঈশ্বর তার সর্বদাই মঙ্গল করে থাকেন।"
বাণী – ৪১
"ময়লা দর্পনে যেমন সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়না, ঠিক তেমনি ময়লা মনে পরম আনন্দ কখনই প্রতিফলিত হয় না।"
বাণী – ৪২
"সাকার এবং নিরাকার কিরূপ জান? যখন জল জমাট বেঁধে থাকে তখনই সাকার; আর যখন জল বাস্প হয় তখনই নিরাকার।"
বাণী – ৪৩
"যত্র জীব তত্র শিব অর্থাত্ প্রতিটিই জীবের মধ্যেই ভগবানের বাস, তাই জীব সেবাই হল শিব সেবা "
বাণী – ৪৪
রামকৃষ্ণের বাণী
"তোমার মধ্যে যদি ঈশ্বরে প্রতি বিশ্বাস ও নিস্বার্থ প্রেম থাকে তবে জানবে তুমি সার্থক জীবনের অধিকারি। "
বাণী – ৪৫
"লজ্জা ঘৃণা ভয়, তিন থাকতে নয়।"
বাণী – ৪৬
"তোমার মনের মধ্যে কখনো লোভ ক্ষোভ হিংসা পুষে রেখো না, কারণ মন হল মন্দির সেখানে শুধুই থাকবে ইশ্বরেই নাম, ভক্তি, প্রেম।"
বাণী – ৪৭
"এ জগতে সাংসারিক বিষয়ের প্রতি মোহ, মানুষকে জেদী করে তোলে, আর মোহ হলো একটি ভয়ঙ্কর বন্ধন যা তোমায় শুধু কষ্ট দেবে।"
আশা করি আপনাদের ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের এই অমৃত বাণীগুলি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে আপনাদের মতামত জানাবেন। আপনা চেষ্টা করবো এরকম আরো অনেক ভালো ভালো বাণী আপনাদের সামনে তুলে ধরার ।
Khub bhalo